আগামী ২২ এপ্রিলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এবারই প্রথমবারের মতো শতভাগ টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ৬ দিনব্যাপী এই টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।
রেলওয়ের তথ্য অনুসারে, ঈদের অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৫৩টি (পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি এমজি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ ৪টি এমজি ও ৯টি বিজি মোট ১৩টি) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ২১৮টি (পূর্বাঞ্চল ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চল হতে ১০২টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অগ্রিম ফিরতি টিকিটের মধ্যে ২৫ এপ্রিলের টিকিট ১৫ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিলের টিকিট ১৬ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিলের টিকিট ১৭ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিলের টিকিট ১৮ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিলের টিকিট ১৯ এপ্রিল বিক্রি হবে এবং ৩০ এপ্রিলের টিকিট ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে।
প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গত ৭ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট (ঢাকা থেকে যাওয়ার) বিক্রি করেছে রেলওয়ে। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের তিন দিনের (২২, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল) টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনের শোভন শ্রেণির (নন এসি) মোট আসনের বিপরীতে ২৫ শতাংশ দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট যাত্রার দিন কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে। ঈদকে কেন্দ্র করে এবার মোট ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে।
এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ঈদের সময় কমলাপুরের যে পরিবেশ তৈরি হয়—এটা রেলের জন্য খুবই বিব্রতকর। মানুষ দুই দিন কমলাপুরে থেকেও টিকিট পায় না। সব মানুষ টিকিট পাবেও না। ঈদের সময় আমাদের সব অর্জন নষ্ট হয়ে যায়। তাই অনলাইনে শতভাগ টিকেট দেওয়া হবে। কমলাপুরে গিয়ে টিকিটের জন্য যাত্রীদের যেন ঘুরতে না হয় এবং তারা যেন বাসায় বসে টিকিট কাটতে পারে সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার যদি কোনো ভুল-ত্রুটি হয় তবে সেটি আগামী ঈদে সংশোধন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :